স্টাফ রিপোর্টার // অপহরণ করে নিয়ে যাবার সময় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ফেরীঘাট এলাকা থেকে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়রের মেয়েকে উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এসময় অপহরণকারী দলের মূল হোতাকে একটি বিদেশী পিস্তলসহ আটক করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন তারা। পুলিশ অপহরণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটি জব্দ করেছে। সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে রূপগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। অপহৃতার বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র কে. এম. শহিদুল ইসলাম শহিদের মেয়ে ও ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএর শিক্ষার্থী সামান্তা ইসলাম (২২)কে বরিশাল মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অসিম দেওয়ান (২৬)সহ তার আরও ২ সহযোগী একটি প্রাইভেট কারে ( ঢাকা মেট্রো-গ-২৫-০২৮৭) উঠিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যাচ্ছিল। গাড়িটি রূপগঞ্জ ফেরিতে উঠামাত্র মেয়েটি চিৎকার শুরু করলে ফেরিঘাটের লোকজন ও স্টাফরা তাদের ঘেরাও করে। এ সময় কৌশলে অসিমের দুই সহযোগী পালিয়ে গেলেও জনতা অসিমকে আটক করে ও সামন্তাকে উদ্ধার করে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। এ সময় পুলিশ গাড়ি চালক বাগেরহাট জেলার সিরাজ মোল্লার ছেলে লিটন মোল্লাকে আটক করে গাড়িটি জব্দ দেখিয়ে থানায় নিয়ে আসে। পরে পুলিশ গাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে একটি সাত পয়েন্ট ৬ বোরের পিস্তল উদ্ধার করে। গাড়ি চালক লিটন জানায় তাকে সোনারগাঁওয়ের মোগড়াপাড়া যাবার কথা বলে রাজধানীর এ্যাপোলো হাসপাতাল থেকে ভাড়া করে। পরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার এফ ব্লক থেকে তারা অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মেয়েটিকে অপহরণ করে। পরবর্তীতে আমাকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাদের দিকনির্দেশনা অনুসারে গাড়ি চালাতে বাধ্য করে।
এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র কে. এম. শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, অসিম একজন বখাটে ছেলে। সে প্রায়ই আমার মেয়েকে অপহরণের হুমকি দিতো। এ জন্য আমি তাকে ঢাকায় রেখে পড়াশোনা করাতাম।
রূপগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন বলেন, অস্ত্রসহ অপহরণকালে ছাত্রলীগ নেতা আটক হয়েছে। যতোই প্রভাবশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। প্রচলিত আইনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Desing & Developed BY EngineerBD.Net
Leave a Reply